যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। মাথার উপর শরতের সুনীল আকাশ। নিবিড় বৃক্ষরাজির মধ্যে দিয়ে এঁকেবেঁকে চলে গেছে পাকা সরু রাস্তা। এই পাকা সরু রাস্তাই আপনাকে নিয়ে যাবে বজ্রযোগিনী গ্রামে। আসলে বজ্রযোগিনী গ্রাম, এটি একটি ইউনিয়ন। বর্তমানে মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় বজ্রযোগিনী গ্রামটি অবস্থিত। মাঝে মধ্যে দেখতে পাবেন পানের বরজ, কাশ ফুলের ঝাড় আর ডোবা নালা। সে এক মনোরম দৃশ্য। অতীশ দীপঙ্করের স্মৃতিবিজড়িত বজ্রযোগিনী গ্রাম। বজ্রযোগিনী গ্রামের নামকরণ নিয়ে কিছুটা মতান্তর রয়েছে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, সম্রাট শেরশাহের যুদ্ধের সময় পরাজিত এক হিন্দু রাজা বরজ নামে এক মেয়েসহ এই গ্রামে বসবাস করতে আসেন। এই মেয়ে পরবর্তীতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন এবং বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন। একপর্যায়ে এই মেয়ে বরজ সন্ন্যাসীনী বা যোগিনী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। কথিত আছে, এই সন্ন্যাসীনী তার অনুসারীদের নিয়ে সপ্তাহে একদিন প্রায় সাত মাইল দূরে মুন্সীগঞ্জের ঘাটে এসে স্নান করতেন। এক সময় এই ঘাট পরিচিতি পায় যোগিনী ঘাট হিসেবে। বরজ নামটি কালক্রমে পরিবর্তিত হয়ে বজ্র হয় এবং সেই অনুসারে গ্রামটির নাম হয় বজ্রযোগিনী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস